ভাষা দক্ষতার বিকাশ
ক. শোনা
মানব শিশুর বাকপ্রকাশ ঘটে মুখের ধ্বনিতে আর শিশু দানি উচ্চারণ করতে পারে শুনতে শুনতে। শোনার মাধ্যমেই শুরু হয় ভাষার যাত্রা। তাই কোন কিছু জানতে হলে প্রথমে শুনতে হয়। মানুষ সারা জীবনে শুনতে পায় সবচেয়ে বেশি। জন্মলগ্ন থেকেই পৃথিবীর নানা ধ্বনিসমূহ এবং কল-কোলাহলের ভেতর দিয়ে বড় হতে থাকে শিশু। নানা রকমের ধ্বনি সে শুনতে পায় প্রতিনিয়ত। ধীরে ধীরে কিছু পরিচিত ধ্বনি তাকে আকর্ষণ করে। এসব ধ্বনি মাঝে মাঝে সে উচ্চারণও করে থাকে। এমনিভাবে পরিবেশ- প্রতিবেশের ধ্বনিগুলো শুনতে শুনতে সে পরিচিত ধ্বনিগুলোকে পার্থক্য করার ক্ষমতা
অর্জন করে।
সঠিকভাবে শোনার উপরই নির্ভর করে সঠিকভাবে বলার ক্ষমতা। সুতরাং সঠিকভাবে শোনার গুরুত্ব অত্যধিক।
শোনার গুরুত্ব ও উপযোগিতাঃ কথা শোনা গ্রহণধর্মী। শোনার উপর ভাষা বলতে শেখা নির্ভর করে। বক্তার কথা যত স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল হবে মনের কথাও তত অবাধ ও সাবলীলতা লাভ করবে। আর এ স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল বক্তব্য কেবল সঠিকভাবে মনোযোগ সহকারে শোনার উপর নির্ভরশীল। মানব শিশু সহজাত অনুকরণ প্রিয়। এই গুণ সহজাত বলেই শিশু ভাষা এবং পরিবার পরিজনের আচার ব্যবহার ও কথাবার্তা অনায়াসে অনুকরণ করতে পারে। সরব পাঠ শোনার কার্যাবলির মধ্যে অন্যতম। এ পাঠের সময় পাঠকের শুদ্ধ উচ্চারণ, যথাযথ যতি ও বিরাম চিহ্ন, কণ্ঠস্বরের খাদ-নিখাদ রক্ষা, স্বরের সূক্ষ্ম কারুকার্যে ভাব, আবেগ ও চিন্তার ধ্বনিময় প্রকাশ, মুখমণ্ডলে বিষয়বস্তুর বিভিন্ন ও বিচিত্র রসানুভূতির স্বাভাবিক অভিব্যক্তি ইত্যাদি ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে অনুকরণ,
There are no reviews yet.