রামাদান মাস কুরআন নাযিলের মাস, তাই মাসটি মর্যাদাসম্পন্ন। কাদ্রের রাতে কুরআন নাযিলের সূচনা হয়েছে, তাই রাতটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। জুমুয়ার দিনটি শ্রেষ্ঠ দিন। এগুলোর মর্যাদা ও গুরুত্ব বিষয়ে আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। তাহলেই আমরা খুবই যত্নের সাথে উল্লেখিত মাস, রাত ও দিনে যথাযথভাবে ইবাদাতের মাধ্যমে এগুলোর মর্যাদা অর্জন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ। অধ্যাপক আ.ন.ম. রশীদ আহমাদ কুরআন ও সহীহ সুন্নার দর্পণে তিনটি বিষয়েই বিস্তারিতভাবে আলোচ্য বইটিতে আলোচনা করেছেন।
“কুরআন-সুন্নাহ্ দর্পণে রমাদান মাস, ক্বদরের রাত ও জুমু’আহ বার”
রমাদান মাস, ক্বদরের রাত এবং জুমু’আহ বার—এ তিনটি বিষয় ইসলামের অনন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিটি মুসলিমের জীবনে এগুলোর বিশাল গুরুত্ব রয়েছে। ‘কুরআন-সুন্নাহ্ দর্পণে’ বইটি এই বিষয়গুলোকে সহজ ভাষায়, গভীর ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করে।
বইয়ের বিষয়বস্তু:
✅ রমাদান মাসের ফজিলত ও তাৎপর্য: কেন রমাদান মাস সিয়ামের জন্য নির্ধারিত হলো এবং এটি কীভাবে একজন মুমিনের জীবনকে প্রভাবিত করে।
✅ ক্বদরের রাত: এই রাতের মর্যাদা ও গুরুত্ব কী, এবং কীভাবে এ রাতে ইবাদত করলে বান্দা আল্লাহর অশেষ রহমত লাভ করতে পারে।
✅ জুমু’আহ বার: জুমু’আহ বার কেন মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং এর সাথে সম্পর্কিত সুন্নাহ ও দোয়া।
কেন এই বইটি পড়বেন?
📖 কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিশ্লেষণ।
📖 সহজ ও বোধগম্য উপস্থাপনা।
📖 প্রতিটি মুসলিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা।
📖 ইবাদতের ফজিলত ও দিকনির্দেশনা।
📖 ইসলামী জীবনযাপনের জন্য সঠিক গাইড।
বিশেষ অফার:
এখন ২০% ছাড়ে বইটির মূল্য মাত্র ২৪০ টাকা!
আজই অর্ডার করুন এবং জ্ঞান অর্জনের এই অনন্য সুযোগটি গ্রহণ করুন।
- Book: Ramadan Mash Qadr er rat Jummah Bar
- Written by: Professor A.N.M Rashid Madani
- Author: Writer
- Publisher: Darul hikmah publications Ltd.
- First published: March 2003
- Pages: 223
- Cover: Hardcover
- ISBN: 978-984-8063-01-9
রমজান সম্পর্কিত আরোও বই দেখতে ক্লিক করুন।
আরোও জানতে আমাদের ফেসবুক পেজ ভিসিট করুন।
F.Q?
- রমাদান মাস কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
রমাদান মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে এবং এটি সিয়াম বা রোজার মাস। এই মাসে ইবাদত করলে আল্লাহর রহমত ও গুনাহ মাফের সুযোগ পাওয়া যায়। - রমাদানে রোজার উদ্দেশ্য কী?
রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন করা এবং আল্লাহর আদেশ পালন করা। - রমাদানে সেহরি ও ইফতারের সময় সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
সেহরি শেষ করতে হবে ফজরের আগে এবং ইফতার করতে হবে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই। - ক্বদরের রাত কী?
ক্বদরের রাত হলো রমাদানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ রাত, যেটি হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। - ক্বদরের রাতে কীভাবে ইবাদত করবো?
এই রাতে বেশি বেশি নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, তাওবা এবং দোয়া করা উচিত। - ক্বদরের রাত কখন হয়?
রমাদানের শেষ দশকের ২১, ২৩, ২৫, ২৭, অথবা ২৯তম রাতে ক্বদরের রাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। - জুমু’আহ বার কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জুমু’আহ বার হলো মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে বরকতময় দিন। এই দিনে বিশেষ খুতবা ও জামায়াতে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। - জুমু’আহ বার নামাজ পড়তে কেন বাধ্যতামূলক?
পুরুষ মুসলমানদের জন্য জুমু’আহ নামাজ জামায়াতে আদায় করা ফরজ। এটি মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। - জুমু’আহ দিনের বিশেষ আমল কী কী?
জুমু’আহ দিনে বেশি করে দরুদ পড়া, কুরআন তিলাওয়াত করা (বিশেষত সুরা কাহাফ), গোসল করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা সুন্নত।
3. শবে কদরের ফজিলত কী?
উত্তর: কুরআনে বলা হয়েছে, “লাইলাতুল কদর হল হাজার মাসের চেয়ে উত্তম” (সূরা কদর: ৩)। এই রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব লাভ করা যায়।
4. শবে কদরের রাতে কী আমল করা উচিত?
উত্তর:
- নফল নামাজ পড়া (তাহাজ্জুদ, নফল সালাত)
- কুরআন তিলাওয়াত করা
- দোয়া ও ইস্তিগফার করা
- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বেশি বেশি বলা
- সালাত ও সালাম পাঠানো (দুরুদ শরীফ পড়া)
5. শবে কদরের বিশেষ দোয়া কী?
উত্তর: হাদিসে বর্ণিত বিশেষ দোয়া হলো:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি।”
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।”
6. শবে কদরে ফেরেশতারা কি করেন?
উত্তর: কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, এই রাতে ফেরেশতারা দুনিয়ায় নেমে আসেন এবং আল্লাহর অনুমতিক্রমে মানবজাতির জন্য কল্যাণ ও বরকত নিয়ে আসেন। (সূরা কদর: ৪)
7. শবে কদর কিভাবে কাটানো উচিত?
উত্তর:
- সারারাত জেগে ইবাদতে লিপ্ত থাকা
- গুনাহ থেকে তওবা করা
- গরীব-দুঃখীদের সাহায্য করা
- বেশি বেশি দোয়া করা
8. শবে কদরের রাতে গুনাহ মাফ হয় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, যারা ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় ইবাদত করে, তাদের পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন (বুখারি, মুসলিম)।
9. শবে কদরের রাতে কী দান করা উত্তম?
উত্তর:
- গরিব-দুঃখীদের দান-সদকা করা
- মসজিদ ও মাদরাসার জন্য দান করা
- এতিম ও অসহায়দের সহযোগিতা করা
10. শবে কদর সম্পর্কে কুরআনে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: সূরা কদরে আল্লাহ বলেছেন:
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
“লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।” (সূরা কদর: ৩)
There are no reviews yet.